বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের (বেবিচক) কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি, অফিসে বসতে না দেওয়াসহ লোক ভাড়া করে শারীরিক আঘাতের অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির ডেপুটি ডাইরেক্টর (ট্রেইনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) রাশিদা সুলতানা। তিনি অভিযোগ করেন, সিভিল এভিয়েশনের দুর্নীতিগ্রস্ত একটি মহল তার অফিস ভাঙচুর করেছে এবং তাকে বদলি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তারা আগেও আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করেছে আর এখন কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে আমাকে ঢাকা সদর দপ্তর থেকে পাবনায় বদলি করিয়েছে।
রাশিদা সুলতানা বলেন, আমার একটি যুদ্ধ ছিল, এয়ারপোর্টটি দুর্নীতিমুক্ত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের করা। আমি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। তারা আমাকে তাদের দুর্নীতির পথে কাটা মনে করে। আমি তাদেরকে সঙ্গ না দেওয়ায় আমার ওপর তাদের আক্রোশ। আর সেকারণেই তারা আমাকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
এই নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় না। আমি একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অথচ আমার হাতে কোন কাজ দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে কোন মিটিংয়ে রাখা হয় না। এটা আমার জন্য পীড়াদায়ক। আমি সারা জীবন সততার সঙ্গে কাজ করেছি এটাই কি আমার অপরাধ?
তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এজন্যই কি আমার সঙ্গে এই অন্যায় করা হচ্ছে? আমার বাবা মহিউদ্দিন মোল্লা ফরিদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার ছিলেন। এজন্যই কি আমি আক্রোশের শিকার হব? যারা আমার বিরুদ্ধাচারণ করছে একটু খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারা চরম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
এই নারী কর্মকর্তা বলেন, আমার ওপর দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু ব্যক্তি তাদের আক্রোশ মেটাচ্ছে, তারা আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করলেন, আমাকে অপদস্থ করলেন, আমি এর বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমার ওপর আক্রমণকারীরা যে দল মত অনুসরণ করুক না কেন তারা তো দুর্নীতিবাজই। এই চার পাঁচটা ব্যক্তি ২০ টা বছর ধরে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। আর এখন তারা আমাকে বেবিচিকের সদরদপ্তর থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি একজন নারী হিসেবে সরকারের কাছে প্রতিকার চাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দপ্তরের উপপরিচালক (এভসেক ট্রেনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) রাশিদা সুলতানাকে গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগে বদলি করা হয়।