জাতীয় গৃহায়নে মাস্টার রুলে নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্কচার্জড কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য শিকার হওয়া কর্মীরা।
এসময় তারা চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এ সময় জাতীয় গৃহায়নের চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমানের রুম ঘেরাও করেন। পরে চেয়ারম্যানের রুমে গিয়ে কথা বলেন এবং আশানুরূপ কোনো বক্তব্য না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যান।
জাতীয় গৃহায়ন কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি শামসুদ্দোহা পাটোয়ারী কালবেলাকে বলেন, ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারও কারও চাকরির বসয় ১২ থেকে ১৫ বছর হলেও তাদের চাকরি স্থায়ী না করে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা এক ধরনের বৈষম্য। মাস্টার রুলে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের আগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে হবে।
এজন্য আজ ওয়ার্কচার্জড কর্মীরা আন্দোলন করছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্মচারি ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল শাহীন কালবেলাকে বলেন, ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি দীর্ঘদিনের। তারা সামান্য কিছু টাকা বেতন পায়। তাদের কারও কারও চাকরি বসয় ১২ থেকে ১৫ বছর। তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে দেওয়া হচ্ছে। এটা বৈষম্য। আমরা চাই তাদের স্থানীভাবে নিয়োগ দেওয়া হোক। এজন্য তারা আন্দোলন নেমেছে।
ওয়ার্কচার্জড কর্মীরা বলেন,ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও কিন্তু কেউ আমাদের দিক নজর দেয় না। সবাই তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের মধ্যে অনেকে মাস্টার রুলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারও কারও চাকরির বয়স হয়েছে ১০ থেকে ১৫ বছরের বেশি। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ না করে নতুন করে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের বৈষম্য স্বাধীন দেশে মানা যায় না। মাস্টার রুলে নিয়োগ পাওয়া আগে তাদের স্থায়ীকরণ করে পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য শিকার হওয়া দুই শতাধিক কর্মচারি আন্দোলন করেছে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য। এসময় তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন