ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সংস্থাটির উপপরিচালক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে গত রোববার হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বিগত সরকারের সময় প্রভাবশালী পুলিশের এই কর্মকর্তা রাজধানীতে দুডজন বাড়ি, অধর্ধশতাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও জেদ্দাসহ বিদেশেও গড়েছেন অঢেল সম্পদ।
এদিকে প্রায় তিন বছর ধরে ঝুলে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে গতি পেয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে হারুনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে তার স্ত্রী, সন্তান ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, হারুন ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলমান সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯-এর ২৬ (২) ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে হারুন অর রশিদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন