কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিবি হারুনের বাবা-চাচার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার অভিযোগ

ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত
ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকুল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

এবার ডিবি হারুনের বাবা আবুল হাশেম এবং চাচা সোলেমানের (বর্তমানে শ্বশুর) বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামের হতদরিদ্র মৃত আবুল হাশেমের ছেলে হারুন। বাবা পেশায় কৃষক ছিলেন। লোকশ্রুতি রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন হারুনের বাবা আবুল হাশেম, চাচা সোলেমান (বর্তমানে শ্বশুর) এবং কুরবান আলী, বাদশা মোল্লাদের নেতৃত্বে পাকিস্তানি মিলিটারিদের সহযোগিতা করতেন। তাদের নেতৃত্বে মিঠামইন থানার জনৈক শাহেদ সাহেবের বাড়িতে পাকিস্তানি মিলিটারিসহ আক্রমণ করে ১৮ মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়।

পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে হারুন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নেন। ১৯৯৩-৯৪ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে সালসাবিল বাসের টিকিট চেকারের চাকরি নিয়েছিলেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হারুন তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বানিয়েছিলেন। সেটি ব্যবহার করেই বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশের চাকরি পান। সারদায় ট্রেনিংয়ের সময় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত হন। এরপর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরি করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগ করার কারণে হারুন পুলিশের চাকরি ফিরে পান।

হারুনের ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার মিঠামইনে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আরেক ভাই মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (জিয়া) পুলিশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এএসআই পদে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন মদের বার থেকে কয়েক কোটি টাকা মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক বলেন, ‘জিয়া এএসআই হলেও উপপরিচালকরা পর্যন্ত তাকে ভয় পান। ভাই হারুনের নাম করে জিয়া রাজধানীর বারগুলো থেকে মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত নম্বরে টানা কয়েক দিন বারবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ড. ইউনূস মেগাফোন কূটনীতিতে ভারতের অস্বস্তি

আওয়ামী নেতার সিনেমায় বুবলী, মুখ খুললেন নায়িকা 

অস্ত্র হাতে সেই লিটন গ্রেপ্তার

কমলার সঙ্গে আর বিতর্কে যাবেন না ট্রাম্প

চিরকুট ও কাফনের কাপড় রেখে প্রাণনাশের হুমকি

অসুস্থ ফুটবলারের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

ভারতে পাচারকালে কুমিল্লা সীমান্তে ফের ইলিশের চালান জব্দ

সুনামগঞ্জ সীমান্তে সাড়ে ১৯ লাখ রুপিসহ যুবক আটক

দাবানলে পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া, স্যাটেলাইটে ভয়ংকর দৃশ্য

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে নতুন মুখ

১০

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ, নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি

১১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু

১২

৫০ হাজার কর্মীর পরিবার করুণ অবস্থায় আছে : আওয়ামী লীগ

১৩

সাতক্ষীরায় ১১টি সোনার বারসহ চোরাকারবারি আটক

১৪

আসছেন ডোনাল্ড লু / ঢাকাকে বিরক্ত না করতে দিল্লিকে দেবেন বার্তা

১৫

গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক লোডশেডিং, বেকায়দায় শিক্ষার্থীরা

১৬

এখনো স্বৈরাচারী কায়দায় চলছে গণপরিবহন: যাত্রী অধিকার আন্দোলন

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দুপক্ষের সংঘর্ষ

১৮

মধ্যপ্রাচ্য থেকে পিছু হটছে মার্কিন রণতরী

১৯

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত সেই আরাফাত গ্রেপ্তার

২০
X