শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ পরবর্তী সময়ে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘর পাহারা দেওয়া, বাজার মনিটরিংয়ের মতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সরব ভূমিকা ছিল শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ‘সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং’ আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। সুষ্ঠুভাবে ট্রাফিক কন্ট্রোল ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি সংকটময় মুহূর্তে আপনারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনারা দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। বাংলাদেশ যে অবস্থানে ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। মাত্র দুই মাসের মধ্যে যে জেনারেশনাল পরিবর্তন এসেছে, এটি আমাদের জন্য স্বস্তির এবং সুসংবাদ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু স্কুল-কলেজ খুলে যাচ্ছে, আপনাদের মধ্যে যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন, তারা ফিরে যাবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা আছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাফিক সিচ্যুয়েশন পুরোপুরি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে না আসে আপনারা তাদের সহযোগিতা করবেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি যেহেতু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, আপনারা যারা এতদিন ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন, এটাতো অ্যাওয়ারনেসের জায়গা থেকে করে গেছেন। আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব শুধু ট্রাফিক অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা নয়। এই সময়টা পার হলেই আপনাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। দেশকে সুগঠিত করার জন্য জনগণের মধ্যেও অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা প্রয়োজন। সেজন্য আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে আপনাদের জন্য একটি ‘সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং’ আয়োজন করব। আপনাদের ট্রাফিকের দায়িত্ব শেষ হলে সেই প্রশিক্ষণে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কাজ করতে চাইলে সবসময় স্বাগত। আপনাদের যদি কোনো অবজারভেশন থাকে এবং সেটি যদি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে কোনো ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে, আমরা সেটি নেব।
তিনি বলেন, আপনারা একটা পয়েন্টে ২০ থেকে ৮০ জন পর্যন্ত ছিলেন। যে কারণে আপনাদের ম্যানেজমেন্ট সুন্দর ছিল। আমাদের কিন্তু একটা পয়েন্টে সর্বোচ্চ ৭ জন থাকে। এখন ট্রাফিক সক্রিয় হচ্ছে। তবে পুলিশ কিন্তু এখনও ট্রমাটাইজড। ট্রাফিক বক্সগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে অনেকে বিভিন্নভাবে ভোগান্তিতে পড়ছে। তবে তারপরও স্পেসিফিক কোনো পয়েন্টে কাজ না হলে আপনাদের কাছে যদি সে তথ্য থাকে আমরা সেটি রেসপেক্টিভ ট্রাফিক ডিভিশনে দিয়ে দেব। তারা যাতে এক্টিভ হয়, সে নির্দেশনাও দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন