বেসিস সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এত দিন মনের মাধুরী মিশিয়ে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে। কাল্পনিক উপাত্ত বলে এতদিন তরুণদের ঘোরের মধ্যে ফেলেছি।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় দেশের প্রযুক্তিখাত নিয়ে সংস্কার বৈঠকে এমন প্রত্যাশা জানান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাধারণ সদস্যরা।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, শুধু বিকল্প নয় বরং পুরোনো ভুল শুধরে আগামীতে দেশের প্রযুক্তিখাত এগিয়ে নিতে চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ বণ্টন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ২.০’ বাস্তবায়নে আগ্রহী সমমনা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক।
সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিউ) এটা অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, তাতে সাধারণ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোকে সরকারের কোলে বসা যাবে না আবার ঝগড়া করাও চলে না। তাই একটা সমীচীন দূরত্ব রেখে সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করতে হবে।
ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রীর ভর্ৎসনা হওয়ার কথাও তুলে ধরেন সৈয়দ আলমাস কবির।
বেসিস সংস্কারের ইঙ্গিত করে আলমাস বলেন, বেসিস সদস্যদের মধ্যে বৈষম্য ঘুচতে বেসিস প্রেসিডেন্ট ফোরাম থেকে অডিট করতে চাই।
বেসিস সাবেক সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য বেসিস এর দরকার হয় না এবং সবচেয়ে সফল কোম্পানিগুলো কাজের জন্য বেসিসের ওপর একদম নির্ভর করে না। যতদিন বেসিস সভাপতি ছিলাম ততদিন সরকারি কাজে অংশ নেইনি।
২০১৫ সালের বেসিস সংবিধান সংস্কার করেছিলাম যেটা পরবর্তী বোর্ড কার্যকর হতে দেইনি। প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রিক বোর্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সংগঠনের বোর্ডে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে সেক্রেটারিয়েট থেকে মুখপাত্র থাকা দরকার।
বেসিসের সাবেক পরিচালক রাশাদ কবিরের সঞ্চালনায় বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর শাহরুখ ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামলুক কাদের, শোয়েব মাসুদ,পরিচালক রাশাদ কবির, সদস্য নাদিম মজিদ, নাফিসা বর্ষা, মৃদুল চৌধুরী, তানজিম ইসলাম, ইশতিয়াক, ফাহমি প্রমুখ এসময় বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন