বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা কমিটির নেতারা নিজ নিজ এলাকার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনা পৃথক পৃথকভাবে উল্লেখ করে লিখিতভাবে কেন্দ্রে জমা দেন।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে জেলা নেতারা বিভিন্ন এলাকার বাস্তব চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় নেতারা বলেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভালো নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে দেবালয়ে। প্রাণ রক্ষায় অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পূজা পরিষদের নেতাদের আলোচনার দাবি জানান তারা।
মাঠপর্যায়ের নেতারা বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক শক্তিই পারে বিরাজমান পরিস্থিতি সামাল দিতে। এর মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করেন তারা।
এদিকে পূজা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, জেলা রিপোর্ট অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সারা দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রায় দেড় হাজার। তবে সব রিপোর্ট কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তারা।
বৈঠকে সংখ্যালঘু নির্যাতন, জন্মাষ্টমীর প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শনিবার পূজা পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর কালবেলাকে বলেন, বর্ধিত সভায় আমরা জেলা নেতাদের কথা শুনেছি। আগামীকাল শনিবার সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, কাজল দেবনাথ, অশোক মাধব রায় প্রমুখ।
মন্তব্য করুন