বৈষম্য দূর করতে বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডার কর্মকর্তারা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।
অভ্যন্তরীণ নানা ধরনের বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণের মুখোমুখি হচ্ছেন খাদ্য কর্মকর্তারা। যদিও দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ২৬ জন খাদ্য কারিগরি গ্রুপের কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিটিতে বলা হয়, খাদ্যের (সাধারণ) ক্যাডারদের দ্বারা বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডাররা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত। ফলে পদোন্নতি-পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। কারিগরি ক্যাডারদের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি তারা স্বীকৃতি ও সম্মানের ক্ষেত্রেও বঞ্চিত। বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে তাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ফলে সাধারণ গ্রুপের অনুজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানটুকুও পাচ্ছেন না তারা।
কর্মকর্তারা এ স্মারকলিপিতে বেশকিছু দাবি জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, কারিগরি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদসমূহে জ্যেষ্ঠতা, ফিডার পদে কর্মকাল পূর্ণ হওয়া ও যোগ্যতাসাপেক্ষে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রশাসন বিভাগ, সংগ্রহ বিভাগ, চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো বিভাগসহ কারিগরি স্থাপনাসমূহের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সব বিভাগের বিভিন্ন স্তরে পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক সাইলোসহ অন্যান্য কারিগরি স্থাপনাসমূহের নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা সাপেক্ষে তদসংশ্লিষ্ট পদ সৃজনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এ ছাড়াও রাইস সাইলোতে গম রাখার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ খাদ্য সংগ্রহ, খাদ্য সংরক্ষণ এবং সাইলোসংক্রান্ত সকল নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাগণের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
কারিগরি গ্রুপের ক্যাডাররা বলছেন, খাদ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণে এখন পর্যন্ত যথাযথ উন্নয়ন হয়নি বিভিন্ন বৈষম্যের কারণে। নতুন নির্মিত কারিগরি স্থাপনাসমূহের পদ সৃষ্টিতে বিলম্ব হচ্ছে। ২০১৫ সালে পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিলটি উদ্বোধন করা হলেও সেটির এখনো পদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা আধুনিক সাইলোর পদ সৃষ্টিতেও বিলম্ব হচ্ছে।
স্মারকলিপিটিতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাইলো ও সাইলোর কর্মচারীদের বিষয়ে অনীহা থাকার জন্য সাইলোসমূহের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে।