স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলমকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে অবসরে পাঠানোর কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া আরও ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই সরকারের সহযোগীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিংবা তারা নিজেরা সরিয়ে যাচ্ছেন। এই ধারাবাহিকতায় জননিরাপত্তা সচিবকে অপসারণের দাবি তোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার বিরুদ্ধে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ইলেকশন করে ১০ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট বানানোর আওয়ামী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা ছিল তখনকার জননিরাপত্তা সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বর্তমানে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে কর্মরত।
মন্তব্য করুন