সারা দেশের সব পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দুই দফা দাবিতে ‘মুভ টু ডিজি হেলথ’ শিরোনামে অবস্থান নেয় সংগঠনটির নেতারা। এডহকের অবৈধ পদায়ন বন্ধ ও ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিতে তারা এ অবস্থান নেয় বলে জানায় সংগঠনটির নেতারা।
নেতারা জানান, বিভিন্ন সময়ে এডহক, এনক্যাডার, নন-ক্যাডার ও প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসা কর্মকর্তাদের অবৈধ পদায়ন আদেশ করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম ও অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের পদত্যাগ চান তারা।
জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট এডহক, এনক্যাডার, নন-ক্যাডার ও প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসা কর্মকর্তাদের অবৈধ পদায়ন আদেশ বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে অবৈধভাবে পদায়ন পাওয়া অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. নন্দ দুলালের নেতৃত্বে ১২ আগস্ট সকালে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস যান ৫০ থেকে ৬০ চিকিৎসক। সেইসঙ্গে ডিজি ও এডিজিকে রুমের মধ্যে আটকে রাখেন এবং বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে অবৈধভাবে পদায়ন পাওয়াদের জেরা ও তোপের মুখে পড়েন স্বাস্থ্যের প্রভাবশালী মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক। পরে অবৈধ পদায়ন আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যের সাধারণ কর্মকর্তারা।
এদিকে, বিগত ১৪ বছরে সারা দেশের স্বাস্থ্য ক্যাডারদের শূন্য পদায়ন অন্যদিকে এডহক ভিত্তিতে অবৈধ নিয়োগ ও পদায়ন করা হয় বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। দুই দফা দাবিতে তারা জানান, দেশের স্বাস্থ্য খাতে এসব অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবেও এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য খাতে নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধ এডহক নিয়োগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডাররা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে সংগঠনটি।