পদত্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, মাত্র ১৭ দিনের মাথায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন। আবার অনেকে তার পদত্যাগে আনন্দও পেয়েছেন। তার প্রতি ক্ষোভের কারণে জাতীয় মনন ও সৃজন চর্চার সূতিকাগার বাংলা একাডেমির একটুখানি ক্ষতিও চান না বলে নিজ থেকে সরে এসেছেন তিনি।
কালবেলার পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করে মাত্র ১৭ দিনের মাথায় অব্যাহতি নেয়ায় অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, আবার অনেকে আনন্দও পেয়েছেন। সকলকে ধন্যবাদ। যা করেছি ভেবেচিন্তে করেছি। মাত্র দুই সপ্তাহ এ পদে কাজ করেই যেভাবে অকস্মাৎ আমার নানাবিধ 'অযোগ্যতা' আবিষ্কৃত হয়েছে, তার পরিমাণ আর বাড়তে দিতে চাইনি। বাংলা একাডেমি আমাদের জাতীয় মনন ও সৃজন চর্চার সূতিকাগার। এর কল্যাণ ভাবনা সবার আগে। আমার প্রতি ক্ষোভের কারণে এর একটি পরমাণুও আমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে চাইনি। তাই সরে এসেছি। বাঙ্গালির আত্মপরিচয় অন্বেষার প্রাণকেন্দ্র বাংলা একাডেমি যুগান্তরের এই লগ্নে বৈশ্বিক উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হোক, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মহিমা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক এর মাধ্যমে--একাডেমির স্বল্পতম কালীন ডিজি হিসেবে সেই কামনা রইলো। সংক্ষিপ্ত এই সময়ে একাডেমির সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আমার শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে যে অকুণ্ঠ সহযোগিতা দিয়েছেন, সে জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জয়তু বাংলা একাডেমি।’
তার করা পোস্টে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে অনেক শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন লিখেছেন, ‘আমাদের ছিল হৃদয় ভারাক্রান্ত অভিবাদন। শুভ কামনা।’
সাগর হোসেন সোহাগ নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনার প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা ছিল আরও বেড়ে গেল স্যার..।’ আব্দুল হালিম নামের একজন লিখেছেন, ‘অনেক কষ্ট পেয়েছি কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্যার।’
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ১২তম উপাচার্য ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান।
মন্তব্য করুন