নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি।
শনিবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন এ শুভেচ্ছা জানান।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করায় গণতন্ত্রী পার্টির পক্ষ থেকে আমরা শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যাকাণ্ডের এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গণতন্ত্রী পার্টি বিবৃতিতে দাবি করেন যে, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে অতি-উৎসাহী কিছু দুষ্কৃতকারী কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মন্দির, উপসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে যারা গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার কাজে লিপ্ত হয়েছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা বাধা সৃষ্টি করে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। রাজনীতির অঙ্গনসহ প্রশাসনের সর্বস্তরে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করে সবাইকে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
গণতন্ত্রী পার্টি বিবৃতিতে বলে, প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা যারা রেমিট্যান্স হিসেবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে চলছেন তাদের দেশে এবং বিদেশে যাতে যোগ্য সম্মান পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা চেয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার করে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, সন্ত্রাস ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈষম্যহীন দেশের প্রত্যাশা করে বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত এবং সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে গণতন্ত্রী পার্টির জন্মলগ্নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নেও পার্টি কাজ করে যাবে।
মন্তব্য করুন