নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এ সরকারের উপদেষ্টা রয়েছেন ১৬ জন। সরকারের এসব উপদেষ্টার মধ্যে দপ্তর বণ্টন শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (০৯ আগস্ট) উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়।
রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং একজন পরিবেশবিদ।
রিজওয়ানা হাসানের পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জ। তিনি ১৯৬৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মহিবুল হাসান। তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক একজন ব্যবসায়ী।
রিজওয়ানা হাসান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে এলএলএম সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশের বাইরে বেশ কয়েকটি ফেলোশিপ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইজেনহাওয়ার ফেলোশিপ করেন।
রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। এ ছাড়া তিনি ২০১২ সালে র্যামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।
তিনি জলাশয় ভরাট করে আবাসন তৈরি, পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার, পাহাড় কাটা, বন ধ্বংস, চিংড়ির ঘের, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে যেখানেই পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই তিনি এবং তার নেতৃত্বে বেলা, পরিবেশ রক্ষায় আইনিভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বেলার প্রধান নির্বাহী ছাড়াও ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি ‘নিজেরা করি’ সংগঠন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-এর একজন সদস্য। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অব আর্থ ইন্টারন্যাশনাল-এর নির্বাহী সদস্য; এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যালায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল’ কমিশন অব দ্য আইইউসিএন-এর সদস্য।
মন্তব্য করুন