অবিলম্বে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নিরীহ জনগণের ওপর হামলা বন্ধ এবং সকল পক্ষের সম্মতিতে দ্রুত নির্দলীয় সরকার গঠন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলন।
আজ বুধবার (০৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম ও সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।
তিনি বলেন, সরকারবিহীন দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জিত বিজয় ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীরা ডাকাতি, লুটতরাজ শুরু করেছে। জনজীবনে আতঙ্ক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোন বাহিনী না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুল কলেজে পাঠাতে অনিরাপদ বোধ করছেন। বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত স্থাপনা, ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা বা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাইব্রেরি, সংগীত চর্চার স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, তার এত বছরের সংগীত যন্ত্রের বিশাল সংগ্রহশালা লুট করা, আগুন দেওয়ার মতন ঘটনা ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কলংকিত করার অপচেষ্টা বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মূলত দেশে কোনো সরকার না থাকায় এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে দুষ্কৃতকারী পেশাদার ডাকাত দল ডাকাতি করার চেস্টা করছে।
বিবৃতিতে ঢাকাসহ সারা দেশের ট্রাফিক সিস্টেমের দ্বায়িত্ব সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য ছাত্রসমাজকে অভিনন্দন জানানো হয়। সেইসঙ্গে যে পর্যন্ত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয় সে পর্যন্ত সামাজিকভাবে প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে জণগণকে ছাত্র জনতার বিজয় নস্যাৎকারী দুষ্কৃতকারীদের রুখে দাঁড়ানের আহ্বান জানানো হয়।