বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সংসদের উচ্চ-কক্ষ রাজ্যসভায় বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি সরকারের পক্ষে রাজ্যসভার সদস্যদের চলমান ঘটনার বিষয়ে ধারণা দেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জয়শঙ্করের পুরো বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মূলত জানুয়ারি মাস থেকে নির্বাচন কেন্দ্রিক উত্তেজনা চলছিল। তবে সে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে চললে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে যান ও রেল চলাচল, সরকারি ভবন ও অবকাঠামোর ওপরে আক্রমণ এবং সহিংসতা চলতে থাকে।
তিনি বলেন, এই পুরো সময়জুড়ে আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম সংযম রাখার জন্য, আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এ রকম সব রাজনৈতিক শক্তির কাছেই এ আর্জিগুলো রেখেছিলাম।
পরে সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধানের উদ্যোগের পরও গণবিক্ষোভ থামেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময়ের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এবং কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও ঘুরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা এক দফার কর্মসূচি গ্রহণ করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ৪ আগস্ট সহিংসতা গুরুতর মোড় নেয়। কারফিউ থাকা সত্ত্বেও পাঁচই আগস্ট বিক্ষোভকারীরা ঢাকায় জড়ো হন। আমাদের জানা মতে, নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, বাংলাদেশে বসবাস করা ভারতীয়দের সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি জানান, ভারত সব খবর রাখছে। সীমান্তে কড়াকড়ি রাখা হয়েছে। ঢাকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন