কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বহু মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা করে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার (৫ আগস্ট) ‘ঢাকা মার্চ’ কর্মসূচি রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনকে সেটি প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত শঙ্কিত। এর ফলে আরও প্রাণহানি হবে এবং ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটবে। আমি রাজনৈতিক নেতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অনুরোধ করছি, তারা যেন জীবনের সুরক্ষা, মতপ্রকাশে স্বাধীনতা ও সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত দায়িত্ব মেনে চলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার আরও বলেন, বিশেষ করে যারা জ্যেষ্ঠ ও নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ওইসব কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সেটির দায়বদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না, এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে।

শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকারীদের টার্গেট না করা, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি, পূর্ণ ইন্টারনেট সেবা চালু করা এবং সংলাপ করার পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসে সহিংসতার ঘটনায়ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বিবৃতি দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থী ও তরুণরা। এ আন্দোলনে ১৭০ জনের বেশি নিহত এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ বিক্ষোভ দমনে কী করা হয়েছে তা যেন সরকার দ্রুত বিস্তারিত প্রকাশ করে। এ ছাড়া হামলার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষের রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চান তিনি।

প্রসঙ্গত, ভয়াবহ সংঘাত-সহিংসতায় আবারও রক্তাক্ত হয়েছে দেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সরকার পতনের ‘একদফায়’ রূপান্তরের পর অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রোববার (৪ আগস্ট) সারা দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা কিংবা আক্রমণে জীবন হারিয়েছেন কমপক্ষে ১০৪ জন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।

নিহতের তালিকায় আছেন শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হামলা হয়েছে ২০টি থানাসহ পুলিশের ২৭ স্থাপনায়। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

এ পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও আজ ঢাকা মার্চ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনকারীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুতুলকে হু থেকে অপসারণে অনলাইনে চলছে গণস্বাক্ষর গ্রহণ, ব্যাপক সাড়া

চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ, অনুসন্ধান করবে দুদক

ভুয়া আসামি দাঁড় করিয়ে জামিন, ৪ জনের নামে মামলার নির্দেশ আদালতের

অত্যাধুনিক গোয়েন্দা জাহাজ নামাল ইরান

সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক / বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক গড়তে চায় পাকিস্তান

পরিযায়ী পাখির মাংস বিক্রি, বন আদালতে মামলা

দুদক সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন

‘পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীর শরীরের বিনিময়’

যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবার মৃত্যু

৪০০ কোটির সেই পিয়নের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১০

আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে

১১

‘৬ কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে’

১২

বাংলাদেশে হতে পারে কাবাডি বিশ্বকাপ

১৩

ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহাকারীদের জন্য সুখবর

১৪

সংসদ সচিবালয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

১৫

আ.লীগ নেতার যোগসাজশে পাহাড় কেটে সাবাড় করলেন বিএনপি নেতা

১৬

ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা

১৭

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক / বাংলাদেশের সব অংশীজনকে নিয়ে কাজ করবে চীন

১৮

বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে জরুরি মিটিংয়ে বসছে বিসিবি

১৯

বাতিল হতে পারে অস্কার অনুষ্ঠান!

২০
X