কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জবি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।  ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হয়েছে, তাই আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।

আজ রোববার (০৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তারা।

আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারে দাবি ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। এখন শিক্ষার্থীদের দাবি কোটার মধ্যে নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তি অনুপ্রবেশ করে তারা সরকারের পতন ঘটাতে চাই। তাই শিক্ষার্থীদের উচিত, আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাসায় ফিরে যাওয়া।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম বলেন, এই রকম শত শত প্রাণহানি, এটা সবার মধ্যে নাড়া দেবে, এটাই স্বাভাবিক।প্রধানমন্ত্রীও সহানুভূতি দেখিয়েছেন। অনেক ভুলভ্রান্তি ছিল আমাদের। দেশের আইন, বিচার, সংবিধান রক্ষা করে আন্দোলন করতে হবে। ছাত্রদের আমারা সংলাপ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এই বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না। দেশকে যারা আফগানিস্তান বানাতে চাই, তাদের ফাঁদে পা না দিতে। শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের যে গ্যাপ (ফারাক) তৈরি হযেছে, তা যাতে আর না হয়, সে দিকে মনোযোগ দেব। আগস্ট মাসে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা আছে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, ৩৪ জুলাই, ৩৫ জুলাই বলা হচ্ছে, তাহলে আগস্ট মাস কি হারিয়ে যাচ্ছে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল কবির বলেন, কোটা আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল, আমরা তার পক্ষে ছিলাম। তবে এর পরবর্তী যে কর্মসূচি তা মানা যায় না। আমরা দেশের ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে আছি। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসেন, আমরা পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দিন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে সমর্থন করি। কিন্তু এখন যেটি হচ্ছে সেটি কোটা আন্দোলন নেই, তারা দেশে পাকিস্তান বানাতে চায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে, যারা নিজেদের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে; তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল ছাত্রদের জন্য কাজ করেছে। নীল দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এবং এই আদর্শের বিরুদ্ধে যারা সংঘবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করবে তাদের আমরা একত্রে প্রতিহত করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় ১৭ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী আটক

১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন / ডিসি নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তে উপদেষ্টা কমিটির গেজেট প্রকাশ

‘আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে’

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের সেরা ৩০-এ ব্লাডলিংকের তামজিদ

বিএনপির ৩ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা

টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা আর নেই

জেহাদ দিবসে তারেক রহমানের বাণী

আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত

মেয়েকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন মির্জা ফখরুল

আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে রাখা জনগণের সাথে প্রতারণা : হাসনাত

১০

সিলেটে বাড়ছে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা

১১

দুই শিশুকে নিয়ে শিবির অফিসে মা, সেক্রেটারি জেনারেলের আবেগঘন স্ট্যাটাস

১২

মাদকসেবন করতে এসে বান্ধবীসহ আটক ২

১৩

বিপিএলে সাকিব খেলবেন চিটাগাং কিংসে!

১৪

আওয়ামীপন্থি দুই গ্রুপে অস্থির অর্থনীতি সমিতি 

১৫

ইন্টারনেটের গতিতে হারিয়ে গেছে চিঠির সেই আবেগ

১৬

ভারতের কাছে আবারও শান্তদের অসহায় আত্মসমর্পণ

১৭

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাবিব

১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন শহীদ আবু সাঈদের বোন

১৯

কবি পিতা হত্যার বিচার চায় চার শিশু

২০
X