জামায়াতের প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিনের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন।
তবে অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, এ দাবি সঠিক নয়। মানজুরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালাতে আদালতে রিট করে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ছড়ানো হয়।
ডিসমিসল্যাব বলেছে, গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজসহ সরকারি দলের নানা সমর্থক ও নেতাদের প্রোফাইল থেকে ছড়ানো একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজা আসমা খাতুন মানজুরের নানি। তার মামা ও খালুর সঙ্গে জামায়াতের সাবেক শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম এবং মতিউর রহমান নিজামীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নিজামীর ফাঁসি হয়েছে। গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। কারাগারে তিনি মারা যান।
ডিসমিসল্যাব যাচাই করে জানতে পেরেছে, উক্ত দাবিগুলো মিথ্যা এবং পোস্টগুলোতে যাদের নাম বলা হয়েছে, তাদের কারো সঙ্গে মানজুরের বা তার পরিবারের আত্মীয়তার কোনো সম্পর্ক নেই।
আইনজীবী মানজুরের এবং তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করে দেখা গেছে, তার নানির নাম মাহবুবুন্নেসা। আসমা খাতুন তার নানি নন। বিষয়টি মানজুর নিজেও ডিসমিসল্যাবকে জানিয়েছেন।
আসমা খাতুনের সন্তানদের একজনের সঙ্গে ডিসমিসল্যাব যোগাযোগ করেছে। তিনিও নিশ্চিত করেন যে তথ্যগুলো সঠিক নয়। তাদের পরিবারে মানজুর নামের একজন সদস্য আছেন। তবে তিনি মানজুর আল মতিন নন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়, মানজুরের আপন মামা হলেন সাইফুল্লাহ মানসুর। কিন্তু ডিসমিসল্যাব জানতে পেরেছে, মানজুরের ছোট মামার নাম ‘মনসুরুল খান’, ‘সাইফুল্লাহ মানসুর’ নয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের প্রোফাইল থেকে করা দাবিগুলোতে যে পারিবারিক সম্পর্কের তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসন) আসমা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলে যায়। কিন্তু মানজুরের নানার পরিবারের সঙ্গে মেলে না। তাই দাবিগুলো সত্য নয়।
মন্তব্য করুন