বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে স্বল্প দূরত্বে নিউ মার্কেটের গাউছিয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখা যায়। দুই পক্ষের মাঝামাঝি রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত এ চিত্র দেখা যায়।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে। মিছিলটি নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগের দিকে যান।
এর আগেই বলা হয়েছিল- ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তারা গণমিছিল করবে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের প্রেরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সবার স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
কর্মসূচি অনুযায়ী হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, আগামীকালের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করে তুলুন।
মসজিদের ইমাম ও খতিবদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চুপ থাকবেন না। মসজিদের মিম্বার থেকে প্রতিবাদের ঘোষণা দিন। মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারাই জাতির দুর্দিনের কান্ডারি। এ দুঃসময়ে ঘরে বসে না থেকে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাদ জুমা মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে ‘ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ বের করুন।
মন্তব্য করুন