পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বার জেদ্দায় সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট চালাবে বেসরকারি এয়ারলাইন্স সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল থেকে এই ফ্লাইল চালু হয়। এর আগে দুপুরে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএস বাংলার ঢাকা-জেদ্দা ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রধান উদ্দেশে জনগণকে উন্নত সেবা ও সঠিক মূল্যে সেবা দেওয়া। এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করব, তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। সঙ্গে যাত্রী সেবাও নিশ্চিত করব।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের এভিয়েশন শিল্পে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। তবে আমাদের আরও অনেক কাজ করার আছে। এভিয়েশন শিল্প টেকনোলজি বেইজড শিল্প। এখানে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করতে হয়।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, নতুন চালু হওয়া এই রুটে ঢাকা থেকে জেদ্দার ন্যূনতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৩ হাজার ১৮৯ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৯০ হাজার ৭১৮ টাকা। এ ছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৭৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ন ভাড়া ১ হাজার ৪৮৬ সৌদি রিয়েল। ঢাকা থেকে যাত্রীরা জেদ্দায় ৩০ কেজি এবং জেদ্দা থেকে ঢাকায় ৫০ কেজি পর্যন্ত বিনা খরচে লাগেজ বহন করতে পারবে।
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে এখন দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও দুবাই, শারজাহ আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এই বেসরকারি এয়ারলাইন্সটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এভিয়েশন সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে নানা পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত বিমান ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে বিমানবন্দরের নানা ধরনের ট্যাক্স, সিভিল এভিয়েশনের সারচার্জ, এভিয়েশ যন্ত্রাংশ আমদানির ট্যাক্স, জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত দামকে দায়ী করেন তারা। তবে এয়ারলাইন্সের প্রতিযোগিতা থাকলে ভাড়া কমবে বলে জানান তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সাধারণ সম্পাদক ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, ইউএস-বাংলার এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লুৎফর রহমানসহ আটাব, টোয়াব ও হাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন