ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজত থেকে মুক্ত হয়েই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই রহস্যজনকভাবে দুজনের ফেসবুক আইডিই গায়েব হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর আইডি খুঁজেও পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিবি থেকে মুক্ত হয়েই সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ওই স্ট্যাটাসে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তিনি ‘গণগ্রেপ্তার, জুলুম, নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে ; ততদিন এ লড়াই চলবে’ বলে ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে, একইদিনে মুক্ত হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। স্ট্যাটাসে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন শুধু ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়; বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেপ্তার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
তার আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ডিবিতে থাকা ছয় সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়। তারা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের।
এর পরের দিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকেই এসব সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন। ডিবির দাবি, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন