সাম্প্রতিক ছাত্র হত্যা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা ইত্যাদির বিচার দাবিতে রাজধানীতে গানের মিছিল করেছে প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৩টায় প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এ গানের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি রাজধানী গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বর (জিপিও, জিরো পয়েন্ট) থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। মিছিলটি জিপিও চত্বরের সামনে এগোনোর পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে আন্দোলকারী শিল্পীরা রাস্তায় বসে পড়ে গান, আবৃত্তি, স্লোগানে মুখরিত করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আর সেখানে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এতে বক্তব্য রাখেন বিবর্তন-এর মফিজুর রহমান লাল্টু, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর জাকির হোসেন, কামাল হোসেন বাদল এবং গণসংস্কৃতি কেন্দ্র-এর জাকির হোসেন। সমাবেশে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন সায়ান, কৃষ্ণকলি, আমিরুন নুজহাত মনীষা, মীর সাখাওয়াত, শাওন. সুস্মিতা কীর্তনিয়া প্রমুখ। তারা পরিবেশন করেন- কারার ওই লৌহকপাট, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, এসো হে বন্ধু গানে গানে বলা যাক না, ভয় কী মরণে, কার ঘরে জ্বলেনি দ্বীপ ইত্যাদি গান। কবিতা আবৃত্তি করেন দীপক সুমন, হাসান ফকরি, সুষ্মিতা রায় সুপ্তি। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, হত্যা এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় নাশকতা নিন্দনীয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে যে অপরিসীম বলপ্রয়োগ করা হয়েছে তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক। এ আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানান বক্তারা। এসব হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বানও জানান তারা। এ গানের মিছিলে বিভিন্ন দাবি, স্লোগান, কার্টুন, মুখোশ, ছবি সংবলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গানের মিছিলে অংশ নেন শিল্পীরা। প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মনে করে, আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে মূলত ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব ও নস্যাৎ করার অপতৎপরতা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
মন্তব্য করুন