দেশের চলমান সংকট উত্তরণে সর্বদলীয় জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম বিবৃতিতে বলেন, সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সংকট আরও চরম আকার ধারণ করে এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা এককভাবে মোকাবিলা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় সংলাপ ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করা।
তারা আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কারা এমন গণহত্যা করে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে সেটা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে গত কয়েক দিনে ব্লক রেইড দিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে গ্রেপ্তার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে সেখান থেকে সরে আসতে হবে। সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ, অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করে সারা দেশে গণ-গ্রেপ্তার বন্ধ ও অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি করছি।
কংগ্রেসের শীর্ষ এ দুই নেতা বলেন, দেরিতে হলেও সরকার ছাত্র আন্দোলনে ১৫৪ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এখনো লাশের সন্ধানে হাসপাতালের মর্গে ছুটছেন স্বজনরা। কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কে কথিত নিরাপত্তার নামে ডিবি পুলিশ আটক করে রেখেছে, যা দেশের সংবিধান ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আটক ছাত্রদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
কংগ্রেস নেতারা মনে করেন- সরকার দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন কায়েমের পথে হাঁটছে। এক ব্যক্তির ইচ্ছের বাস্তবায়ন চলছে দেশে। দেশের আইন, নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী মত দমনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকার। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।
মন্তব্য করুন