ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১৮তম দিনে আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযানে ১৮ দিনে ২০২ মামলায় জরিমানা ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশকবিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪ মামলায় মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন রায়ের বাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন কল্যাণপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ১০৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ কে এম শফিকুর রহমান। ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-০৯ এর আওতাধীন সাঈদনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১টি গ্যারেজে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়াও ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
মন্তব্য করুন