জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার কল আসে এই নম্বরে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেকে হতাহত হন। এই তিন দিনে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ সরকারি ও ব্যক্তিগত যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে নাশকতার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
সহিংস আন্দোলনের এই তিন দিনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১টি। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগের কল ছিল ৬৫২টি। অগ্নিসংযোগের কলের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কল ৯৯৯-এ করা হয় রাজধানী ঢাকা থেকে।
বিশেষ করে গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সহিংস আন্দোলনের এই তিন দিনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১টি। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগের কল ছিল ৬৫২টি। অগ্নিসংযোগের কলের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কল ৯৯৯-এ করা হয় রাজধানী ঢাকা থেকে।
এ সময় সারা দেশে অনেকে হতাহত হন। এই তিন দিনে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ সরকারি ও ব্যক্তিগত যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে নাশকতার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল আসে ২০-২২ হাজার। করোনাকালে মানুষ লকডাউনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে ফোন দিত। তখন প্রতিদিন ৩০-৩২ হাজার কল আসত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়েও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ফোন কল আসতে শুরু করে। এসব কলের অধিকাংশ ছিল আন্দোলনের সময় চলা নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও পুলিশ আটকে থাকার কল।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই অনেক পুলিশ সদস্য সহায়তা চেয়ে কল দিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। পুলিশ সদস্যরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা নিজেদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আন্দোলনকারীরা ঘিরে ধরে রেখেছে যে কোনো সময় তাদের ওপর হামলা হতে পারে, তাই তাদের যেন দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। এ ছাড়া অনেক পুলিশ সদস্য কল দিয়ে বলেছেন, তারা সহিংসতায় একা আটকে আছেন তাদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।
তবে এখনো প্রতিনিয়ত কল আসছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। সাধারণ মানুষ কারফিউ কখন শিথিল হবে, ইন্টারনেট কবে চালু হবে, রাস্তায় গণপরিবহন যাত্রা কখন থেকে শুরু হবে– এসব সহ বিভিন্ন নাগরিক সেবার বিষয়ে জানতে ও সেবা নিতে কল দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন