কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত হওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়া তাদের নামে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে কোটা সংস্কারবিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কিছুই করা হয়েছে। কোটা সংস্কারের জন্য আমরা আপিল বিভাগের রায় প্রতিপালন করেছি। আন্দোলনের নামে যেসব সহিংসতা হয়েছে, তা তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কমিশনের প্রধান বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামান কাজ শুরু করেছেন। মামলার তথ্যাদি সরকারকে দেওয়া হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে হওয়া মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করেছি। এখন তাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। তারা যেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্যাম্পাসে ফেরেন।
আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে আনিসুল হক বলেন, কোটা বিষয়টি রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী বিষয়। তার পরও আদালত সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদের প্রদত্ত এখতিয়ার বলে এবং সার্বিক ও যৌক্তিক বিবেচনায় সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংবিধানের ১৯, ২৭, ২৮-এর ৪, ২৯-এর ৩ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সরকার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করল। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন