কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষ : নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৬ 

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ মানুষ। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে সিয়াম (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে মৃত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তবে সিয়াম মারা গেছে নিশ্চিত হয়ে তাকে হাসপাতালের ভিতরে নেওয়া হয়নি।

পরে কয়েকজন সিয়ামের মরদেহ অটোরিকশায় করে নিয়ে চলে যান। সিয়ামের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। সিয়াম মাতুয়াইলে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সিয়ামের খালাতো ভাই রাসেল জানান, সিয়াম গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী। রাতে বাসায় ফেরার পথে হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ চলাকালে সে গুলিবিদ্ধ হয়। আমরা বুজতে পারি যে সিয়াম মারা গেছে যার ফলে ঐ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলেও আমরা আর ভেতরে ঢুকিনি। লাশ বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসা হয়। যারা নিয়ে এসেছিল তারা বুঝতে পারেন ওই যুবক মারা গেছে। এজন্য তারা আর হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করে সিএনজিতে করে মরদেহ নিয়ে চলে গেছে।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দুপুরে বুধবার হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজার কাছে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে বাসার ফটকে থাকা বাবা ও তার দুই বছরের শিশু সন্তানসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ আন্দোলনকারীরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজাসহ যাত্রাবাড়ী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, দনিয়ার বাসিন্দা বাবু মিয়া (৫০) ও তার দুই বছরের শিশু রোহিত (০২) এবং শনির আখড়া থেকে পথচারী পিয়াস (১৭), মনিরুল (২০), সোহাগ (২৭) ও ফয়সাল (১৮)। এদের মধ্যে ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

গুলিবিদ্ধ শিশু রোহিতের মা লিপি আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামী বাবু মিয়া ও দুই বছরের সন্তান নিয়ে পাঁচতলা ভবনের নিচে ঘরের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ ছররা গুলি এসে আমার স্বামী ও সন্তান রোহিত মিয়ার শরীরে লাগে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পর্ষদ ভেঙে এক্সিম ব্যাংক পুনর্গঠন

অবৈধ অভিবাসীদের বিমান ভাড়া নিয়ে আমিরাতের সুখবর

আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের জন্য আহমাদুল্লাহর উদ্যোগ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের / আগামী রোববারের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ কিমি রাস্তা মেরামত করেছে এলজিইডি

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

নির্যাতনের শিকার হাতিটি উদ্ধার করল বন বিভাগ

বৈষম্য বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা বাতিল : রিজওয়ানা 

শ্বেতপত্র কমিটি দুর্নীতি ধরবে না, দুর্নীতির মাত্রা তুলে ধরবে

১০

রাজশাহীতে গুমের অভিযোগে ৭ র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

১১

দেশে সাফজয়ী যুব দল, সন্ধ্যায় ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ

১২

ফুলেল শুভেচ্ছায় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে ফেরালেন শিক্ষার্থীরা

১৩

সুমন সিকদার হত্যা / টিপু মুনশি ৪ দিনের রিমান্ডে

১৪

বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে কুয়েতের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

১৫

দেবীগঞ্জ থেকে ফেনীর পথে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণবাহী ট্রাক

১৬

সাবেক আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৭

পরিবেশবান্ধব খেলনা তৈরিতে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রশিক্ষণ দিবে লাইট অফ হোপ

১৮

সুনামগঞ্জে খাল নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত

১৯

গণফোরামের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা

২০
X