চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এর আগে, সারা দেশের স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য সারা দেশের ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
তবে, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বুধবার যেহেতু সরকারি বন্ধ আছে, তাই এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও কোথাও এখনো সংঘর্ষ চলছে। এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী, একজন পথচারী এবং বাকি একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। এরপর ঢাবি ছাড়াও জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন