ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটা অংশ মিছিল নিয়ে গেলে একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে। এখন টিএসসিতে অবস্থানরত কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিরাট মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে যাচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যকার একজন গুরুতর আহত হয়েছেন; তাকে রিকশা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অপমানজনক’ বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিলটি শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজও যোগ দিয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার-হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা-দেশটা কারো বাপের না’, ‘তুমি নও আমি নই-রাজাকার রাজাকার’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার-তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘আমরা নাকি রাজাকার-ধিক্কার ধিক্কার’, ‘এসো ভাই এসো বোন-গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’- স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্দেলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবিকে দমাতে গতকাল রাতে বিভিন্ন জায়গায় হামলা করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। আমাদের দাবি, কোটার যৌক্তিক সংস্কার করেই আমরা রাজপথ থেকে সরে যাব। আমরা এখানে আন্দোলন করতে আসিনি, আমরা পড়ালেখা করতে এসেছি।
এদিকে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণীত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই এবং আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রতিবাদে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তাদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে রাজু ভাস্কর্য এলাকা আগে থেকেই দখল করে রেখেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।