বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এখনো ত্রাণ সহায়তা চলমান রেখেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
তিনি রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং দেশের সকল ধনী ও বিত্তবান ব্যক্তিদের বিডিআরসিএস এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশের উত্তর অঞ্চলসহ সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সহায়ক সংস্থা হিসেবে দুর্যোগপিড়ীত মানুষের দূর্দশা লাঘবে বিভিন্ন ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ৭টি পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন ও বোতলজাত প্রায় ৩ লক্ষ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়েছে। কার্যক্রমটি এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর প্রায় ১৬ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৭ দিনের খাদ্য সহায়তা এবং প্রায় ৪ লক্ষ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রায় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের নন ফুড আইটেম বিতরণ করা হয়েছে। উপকূলীয় এবং বন্যা কবলিত জেলাগুলোর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজারের পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৬ হাজার টাকা হারে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা নগদ অর্থ প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে সমন্বয়পূর্বক রেড ক্রিসেন্ট যুব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, সাতক্ষিরা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলা এবং বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় সর্বমোট ৯ টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজারেরও অধিক মানুষকে বিনামূলে বিভিন্ন ধরণের জরুরি চিকিৎসা ওষুধ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রেরণের জন্য আরও ৫টি মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও গাইবান্ধা জেলার বন্যায় পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬টি জেলার ১২ টি ইউনিয়নের ৫ হাজারেরও অধিক পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৫ হাজার টাকা হারে নগদ অর্থ প্রদান করা, সম্ভাব্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মধ্য থেকে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন