সব গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করার দাবিতে। সেই সঙ্গে সারাদেশে চলা আন্দোলন কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে হামলা ও বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে এবং এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১৩ জুলাই) ৬৪ জেলায় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আগামীকাল সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ও ৬৪ জেলায় অনলাইন ও অফলাইন প্রতিনিধি সম্মেলন এবং সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে গতকাল (১১ জুলাই) আমার ভাইদেরকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমাদেরকে বার বার হাইকোর্টের বারান্দা দিয়ে ঘুরঘুর করানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আমাদের এক দফা এক দাবি অতি দ্রুত মেনে নিন।
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, কোটা ইস্যুকে সমাধান না করে তা দীর্ঘায়িত করে শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবল খেলা হচ্ছে। আমাদের এক দফা দাবিকে মেনে নিয়ে সংসদে আইন পাশ করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
এর আগে, আজ (১২ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিশাল এক মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রদক্ষিণ করে তা শাহবাগে গিয়ে শেষ করেন। পরে শাহবাগ অবরোধ করে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন