ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। বিভিন্ন সড়কে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমে গেছে, যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীসহ বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ‘কুইক রেসপন্স’ টিম মাঠে নেমেছে। কাজ করছেন ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ঢাকার ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। যারা বিভিন্ন ক্যাচমেন্ট এলাকায় কাজ করছে। কিন্তু, অসুবিধা হচ্ছে যেসব পয়েন্ট থেকে আমরা ড্র্বেইনেজ সিস্টেম পরিষ্কার করি, সেই পয়েন্টগুলোতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ফেলায় এলাকাভিত্তিক জলাবদ্ধতা নিরসনে সময় লাগছে। তবে বড় সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা কমেছে। যেসব এলাকায় আমরা ড্রেনেজের কাজ করেছি, সেসব জায়গায় কিন্তু জলাবদ্ধতা নেই, বা থাকলেও দ্রুত কমে যাচ্ছে।
অল্প সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লাগছে জানিয়ে মকবুল হোসাইন বলেন, এখনো যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে সে সব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের শাখা রাস্তাগুলো থেকে পানি সরাতে কাজ চলছে। এ ছাড়া কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ এ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও।
পানি নিষ্কাশনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও। দক্ষিণের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০০টি টিম সকাল থেকে কাজ করছে। এ ছাড়া দোলাইরপাড় ও কমলাপুরে পাম্প চালু আছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়। তবে অল্প সময়ে এত ভারি বৃষ্টিপাত সম্প্রতি হয়নি।
মন্তব্য করুন