কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণহত্যা জাদুঘরকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেন গণপূর্তমন্ত্রী 

জাদুঘরের ভবন পর্যবেক্ষণ করেছেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
জাদুঘরের ভবন পর্যবেক্ষণ করেছেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

গণহত্যা জাদুঘরকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। রোববার (৭ জুলাই) বেলা ৩টায় খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর নবনির্মিত ভবনে জাদুঘরের প্রদর্শনী কক্ষ এবং ভবনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন। জাদুঘরের ভবন পর্যবেক্ষণ করে এর কার্যক্রম নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছন, গণহত্যার ইতিহাস নতুন ভাবে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে নিয়ে এসেছে গণহত্যা জাদুঘর। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস পৌঁছে দেওয়াটা নিশ্চিত হলো এবার। যারা গণহত্যা চালিয়েছিল এবং যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদের কার্যক্রমও নতুন প্রজন্ম মনে রাখতে পারবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যদি রাজনৈতিক শক্তিশালী হয়ে উঠতে চায়, তাহলে নতুন প্রজন্মই তাদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। কেননা তারা সে ইতিহাস জানে।

মন্ত্রী জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে দেখেন। জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষে তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের দলিল, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত মাইক (বুলেট), বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ লিখিত ঐতিহাসিক চিরকুট, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিদর্শন, একাত্তরের ঘাতক ও পাকিস্তানি দোসরদের নানা দলিলপত্র ঘুরে ঘুরে দেখেন। গণহত্যার বিভিন্ন ছবি দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

গণহত্যা জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য তিনি জাদুঘরের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই জাদুঘরের আধুনিক ভবন নির্মাণের সঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূত মন্ত্রণালয় প্রথম থেকেই জড়িত ছিল এবং আগামীতেও জাদুঘরের সার্বিক উন্নয়নে তার মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।

গণহত্যা জাদুঘর ভবনটির জীর্ণতা ও ভগ্নদশা এবং প্রদর্শনের জন্যে স্থানের অপ্রতুলতার দরুন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক নকশা প্রণয়নপূর্বক নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট ৩৩ হাজার ৫৯০ বর্গমিটার জাদুঘর ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জাদুঘর নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেন গণপূর্ত অধিদপ্তর।

জাদুঘর পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর মো. নবীরুল ইসলাম, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্বশুরবাড়িতেও ঠাঁই হলো না শহীদ নূর আলমের স্ত্রী খাদিজার

স্ত্রীসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকের

ধর্ম বোন বানিয়ে তারই ছেলেকে অপহরণ

এবার কলকাতায় দেখা গেল মোহাম্মদপুরের আলোচিত কাউন্সিলর আসিফকে

‘ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ব্যবহার করেনি র‍্যাব’

ব্রাজিল কোচের মাথায় হাত!

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকায় যানজটে দৈনিক নষ্ট হচ্ছে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা

যে কারণে সিনেমা হলে টিকিট বিক্রি করলেন সৃজিত-দেব 

তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১০

নিউজিল্যান্ডে নৌবাহিনীর জাহাজডুবি, ৭৫ নাবিককে উদ্ধার

১১

জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১২

তারেক রহমানের সব মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে : কায়সার কামাল

১৩

পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

১৪

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৫

স্প্যানিশ তারকার কান্নায় মাটি জয়ের আনন্দ

১৬

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েও আসামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সিয়াম

১৭

মধ্যপ্রাচ্যে কত সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র?

১৮

ইমন হত্যা / আ.লীগের আরও ২ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

ঢাকা মেডিকেলে অনেক লাশের মধ্যে পড়ে ছিল শহীদ রনির লাশ 

২০
X