৬ষ্ঠ দিনেও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তদারকি সংস্থা বিআরইবির অব্যবস্থাপনা, বৈষম্য, দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের মালামাল ক্রয়পূর্বক ভঙ্গুর বিদ্যুৎ লাইন তৈরি করে গ্রাহক ভোগান্তিসহ নানা অভিযোগ তুলে এসব থেকে মুক্তি চান তারা।
সবশেষ বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক থেকেও প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। সংকট সমাধানে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিদুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের সাথে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ দফা দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি। সিনিয়র সচিব যেসব আশ্বাস দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা যেসব বিষয় উপস্থাপনই করিনি সেসব বিষয়ে মহোদয় কথা বললেও উপস্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য তিনি দেননি। আমাদের ফলে আমরা এখন আরইবির দু:শাসন থেকে মুক্তি চাই এবং মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আন্দোলকারীদের একজন সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এজিএম সাজেদুর রাহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আশেপাশের কয়েকজন জিএম এর সাথে আরইবির নির্বাহী পরিচালক আসাফউদ্দৌলা সভা করেন। সভায় তিনি যে সকল সুযোগ-সুবিধা আরইবি দিবে বলে জিএমগণকে জানিয়েছিল সিনিয়র সচিব মহোদয় সেগুলোই সভায় উপস্থাপন করেন। এতে প্রতীয়মান হয় সিনিয়র সচিব মহোদয় আরইবি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা জানান, সিনিয়র সচিব মহোদয়ের মেয়ে আরইবিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বিধায় তিনি আরইবির প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে হয়। আমাদের জাতীয় সংকটে তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না।
উল্লেখ্য কর্মবিরতি চললেও জরুরি বিদ্যুৎ ও গ্রাহকসেবা চালু রেখেছে আন্দোলকারীরা।
মন্তব্য করুন