প্রতিটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং ভোগান্তিহীন সেবা পেতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে সচিব/সিনিয়র সচিবদের তারা এ নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ অন্তত ৮-৯টি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
প্রায় ২ ঘণ্টার সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি। বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ সংশোধন হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও শেষ হয়েছে। দ্রুত আপনারা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে গুরত্বারোপ করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়ে সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাহবুব বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে সেবা কার্যক্রম তদারকি (মনিটর) করতে বলা হয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত সচিব সভার আলোচ্যসূচি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসন বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন সচিব এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, সভার আলোচ্যসূচিতে যা ছিল তার বাইরে কিছু আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও কোনো নির্দেশনা পাঠাননি। সভায় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তারা বলেন, কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সংকট আলোচনায় স্থান পায়নি।
একজন সচিব জানান, সরকারের বড় বড় কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি সচিবদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফলে সচিব সভায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিবদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মুখ্য সচিব।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন