ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, দেশে স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমাদের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া এবং গণমাধ্যমকে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ‘মনের বন্ধু’-এর যৌথ উদ্যোগে ‘আইসিটি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ শিরোনামে ওই আলোচনা পর্ব আয়োজিত হয়।
পলক বলেন, সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশব্যাপী এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেন্টরিংয়ের জন্য প্রশিক্ষক ও কাউন্সিলর নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে আমরা কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকেও প্রযুক্তির সহায়তায় কাউন্সেলিং প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারি।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল জগত নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষে সাইবার বুলিং বন্ধ করা, নেগেটিভ কনটেন্ট শনাক্ত ও সরানো এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদেরকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিপ ফেক এর মতো যে সকল ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী তাদের শনাক্ত করতে হবে এবং তাদের দায়বদ্ধতা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম, ইউএনডিপির সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক, মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাওহিদা শিরোপা।
মন্তব্য করুন