প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার এই লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে। ডিজি কিংবা মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক বদলি বাণিজ্যের তদবীর আর ট্রেনিংয়ের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। সেই সিন্ডিকেটটা ভাঙা দরকার।
বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল-২০২৪’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
পঙ্কজ নাথ বলেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাকে একেবারেই তৃণমূলের পর্যায়ের শিশুদের যোগ্য করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী তার সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন। তিনি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছেন, যেই গ্রামে বিদ্যালয় নেই সেটি খুঁজে বের করে আমাদের চরাঞ্চলে স্কুল দিয়েছেন, প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন। সন্তানকে স্কুলে পাঠানো মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে নীরবে গোপনে মাসে দেড়শ টাকা চলে যায় সেটিও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। শিক্ষার প্রতি তার যে অনুরাগ তার বহিঃপ্রকাশ এটি।
পঙ্কজ নাথ বলেন, অনলাইনে বদলির আবেদনের কথা বললেও ম্যানুয়ালি যে বদলিগুলো হচ্ছে সেই ডিজি ও মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক তদবিরটা যদি বন্ধ করা না যায়, আমি গ্রামের মানুষ; আমার চরে কেউ থাকতে চান না। এক বছরের বেশি রাখতেই পারি না। সেই বদলিটা যেন যত্রতত্র না হয়। ঢাকায় এসে তদবির করে বদলি হয়ে যায়। এই বদলির আর্জিটা বন্ধ করতে না পারলে লাভের গুড়, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ধ্বংস করে ফেলেছে এই দুর্নীতিবাজরা আর শিক্ষকরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, দক্ষ ও পরিশ্রমী শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটা উপজেলায় একটি করে আবাসিক প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন