ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তিতে কর্মরত জেলা এবং উপজেলা কার্যালয়ে সব আইসিটি অফিসারের অফিস আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপশি তাদের সবাইকে জেলা এবং উপজেলা কার্যালয়ে তথা মাঠপর্যায়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১ জুলাই) আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে আইসিটি বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি জাতীয় পত্রিকায় আইসিটি অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আইসিটি অফিসার এবং প্রোগ্রামারদের সংযুক্তিতে ঢাকায় বদলি নেওয়াসংক্রান্ত এক প্রতিবেদন নজরে এলে এমন সিদ্ধান্ত জানান পলক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের নিমিত্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার এ খাতকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বব্যাপী প্রয়োগ ও ব্যবহারে কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতকরণ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধাসমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো, অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান; রক্ষণাবেক্ষণ; বাস্তবায়ন; সম্প্রসারণ মান নিয়ন্ত্রণ ও কম্পিউটার পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গঠন করা হয়।
মাঠপর্যায়ে আইসিটি অফিসারদের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেয়। মাঠপর্যায়ে আইসিটি অফিসাররা সরাসরি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদান করে থাকেন। তারা স্থানীয় জনগণকে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেন। মাঠপর্যায়ে আইসিটি অফিসাররা বিভিন্ন সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশনে কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে আইসিটি অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন জরিপ ও ডাটাবেজ তৈরি এবং তার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করেন।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের ফলে তথ্যপ্রযুক্তির পদচারণা এখন সর্বত্র। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ অনস্বীকার্য। তথ্যপ্রযুক্তির এ অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাঠ পর্যায়ে আইসিটি অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আইসিটি অফিসাররা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দেবেন এবং তাদের দক্ষতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে একটি উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে রূপান্তরিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন