অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, সারওয়ার মুরশিদের তৎপরতা ক্লাসরুমের বাইরে সমাজ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকেও সমৃদ্ধ করেছেন।
জাতীয় উদযাপন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম তার শিক্ষকের সাহিত্য বিষয়ে গভীর মনোযোগ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানচর্চা উৎসাহিত করতে যে বিশেষ যত্ন ও বিদ্যায়তনিক পরিবেশ জরুরি সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শিক্ষাবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উত্তরসূরি : নূরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ আরও কিছু জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন একত্রে এই দেশবরেণ্য অগ্রণী চিন্তাবিদের জন্মশত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে এ বছরের শেষ নাগাদ নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খান সারওয়ার মুরশিদকে স্মরণ করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে খান সারওয়ার মুরশিদ জন্মশতবর্ষ জাতীয় উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
খান সারওয়ার মুরশিদের জন্মশতবর্ষ জাতীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. ফকরুল আলম তার শিক্ষক খান সারওয়ার মুরশিদ জন্মশতবর্ষ পালনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
জাতীয় উদযাপন কমিটির সদস্য উত্তরসূরির মহাসচিব শারমীন মুরশিদ বলেন, শিক্ষা, সাহিত্য ও শিল্পের নানান ক্ষেত্রে খান সারওয়ার মুরশিদের অবদান চিহ্নিত করার সময় এসেছে। সমাজে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে যে ধস লক্ষণীয় তার পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোকিত শিক্ষক ও সাহিত্যতাত্ত্বিকের চিন্তার স্বচ্ছতা ও বৈদগ্ধের গভীরতা আজ সবচেয়ে দরকারি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কমিটির সহআহ্বায়ক ড. পারভীন হাসান আজকের সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষায়তনিক দৈন্যের পরিপ্রেক্ষিতে সারওয়ার মুরশিদের মতো মেধাবী ও রুচিবোধসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবের প্রশ্নটি সামনে নিয়ে আসেন।
জাতীয় উদযাপন কমিটির অপর সদস্য জাকির হোসেন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী, স্মরণ করিয়ে দেন, অ্যাকাডেমিক হয়েও নানান রাজনৈতিক সংকটকালে সারওয়ার মুরশিদির সাহসী পদক্ষেপ তার সততা ও সাহসের পরিচয়বহ ছিল।
কমিটির পক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার একটি নাতিদীর্ঘ তালিকা উপস্থাপন করেন উত্তরসূরির পরিচালক মোস্তফা জামান।
মন্তব্য করুন