শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—গোসল না করলে অনেকেরই অস্থিরতা কাটে না। এমন বহু মানুষ রয়েছেন আমাদের আশপাশে। কাঠফাটা গরম থেকে মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, দুবেলা ভালো করে গোসল না করলে চলে না অনেকেরই। এর ফলে কী নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ?
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চর্ম চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত গোসল না করা মানেই আপনি অপরিচ্ছন্ন, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমাদের ত্বকে এমন অনেক ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে, যারা আদতে বেশ উপকারী। নিয়মিত গোসল করলে সেই সব ব্যাক্টেরিয়া মারা যায়। যার ফলে ত্বকের বেশ ক্ষতি হয়। বাড়ে সংক্রমণের সম্ভাবনাও। দিনে একাধিক বার গোসল করার স্বভাব রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের কারণে কিন্তু ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে যে তেলের ক্ষরণ হয়, তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, চুলকানি শুরু হয়। অতিরিক্ত ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে এই সব সমস্যা আরও বাড়ে।
দিনে একাধিকবার কিংবা অনেক সময় নিয়ে গোসল করলে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। অনেকে গা মাজনি দিয়ে ঘষে ঘষে গোসল করেন। স্যাঁতসেঁতে ভেজা গা মাজনি আসলে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। যেখানে ব্যাক্টেরিয়ারা বংশবিস্তার করে। যদি গা মাজনি ব্যবহারে আপনার আসক্তি থাকে তা হলে নিয়মিত সেটা ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন, না হলে কিন্তু ত্বকের উল্টে ক্ষতি হবে।
অনেকে গোসলের সময় নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। এই অভ্যাসও মোটেও ভালো নয়। এতে মাথার ত্বকেও তেলের ক্ষরণ কমে যায়, ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন