ক্যাস্টর বিন থেকে সংগ্রহ করা হয় ক্যাস্টর অয়েল। ত্বক ও চুলের জন্য যা বেশ উপকারী। এতে আছে রাইসিনোলিক অ্যাসিড, যা একটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি একই সঙ্গে একটি ফ্লেভানয়েড, ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক ও অ্যামাইনো অ্যাসিড।
ডিপ কন্ডিশনিং : ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পুষ্টিকর হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এরপর ধুলেই পাবেন নরম ময়েশ্চারাইজ করা চুল।
আইল্যাশ সিরাম : যাদের ভ্রু বা আইল্যাশ কম বা পাতলা তারা এগুলো বাড়াতে সিরাম হিসেবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
দাগ দূর : ত্বকে কোনো ক্ষত-দাগ বা বলিরেখা থাকলে তাতে নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল লাগান। ধীরে ধীরে দাগ উবে যাবে।
লিপ বাম : লিপ বামের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। তবে ব্যবহার করতে হবে খুব অল্প পরিমাণ। এতে ঠোঁটের ত্বক হাইড্রেশন পাবে আবার চকচকও করবে।
ব্রণের দাগ : ব্রণের দাগে নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল লাগালে তা একদিকে যেমন প্রদাহ কমাবে, তেমনি রোমকূপ আটকে যাওয়াও রোধ করবে।
ময়েশ্চারাইজার : হাইড্রেটিং তথা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিমের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে ক্যাস্টর অয়েল। খানিকটা সরাসরি মেখে নিলেই হলো।
খুশকি : খুশকি সারাতে ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ক্যারিয়ার তেল হিসেবে হালকা গরম নারকেল তেল যোগ করে মাথায় লাগান।
বলিরেখা : বলিরেখা বরাবর নিয়মিত অল্প পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল লাগালে তাতে দাগ ঢাকা পড়বে।
নখচর্চা : নখের সৌন্দর্য নিয়ে যারা ভাবেন তারা নখের আগায় ফোঁটায় ফোঁটায় লাগাতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল।
রিমুভার : প্রাকৃতিক ও নিরাপদ মেকআপ রিমুভারের কাজ করে ক্যাস্টর অয়েল। তুলার বলে ক্যাস্টর অয়েল মেখে ঘষলে ওয়াটারপ্রুফ মাশকারাও উঠে আসবে।
মন্তব্য করুন