আজ বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসটি ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর উদযাপিত হয়ে আসছে। মানব সভ্যতার টেকসই অগ্রগতিতে সৃজনশীলতা ও নতুন উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরতেই দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের আধুনিক সভ্যতার মূল চালিকাশক্তিই হচ্ছে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন। এই মানবসমাজের নানাবিধ সমস্যার টেকসই সমাধান এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচনে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকল্প কোনো নেই। তবে মানবসভ্যতার এই ধাপে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন অনেক শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমাদের দেশে তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি কার্যকর সংযোগ বা ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. রাশেদুর রহমান বলেন, উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো অনেক পিছিয়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো সৃজনশীলতা ও গবেষণাবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি।
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ তরুণ। এই বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠীকে উদ্ভাবনী কাজে সম্পৃক্ত করা গেলে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
উল্লেখ্য, এই দিবসের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী পর্যায়ে সৃজনশীল বহুমুখী চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করা।
মন্তব্য করুন