পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দই অন্যতম। বাজারে সাধারণত টক এবং মিষ্টি এই দুই ধরনের দই পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, মজাদার এই খাবারটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
মিষ্টি দই খেলে শরীরে যা হয়
কলকাতার চিকিৎসক ডা. পাল বলেন, দই অত্যন্ত উপকারী একটি দুগ্ধজাত খাবার। এই খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের উন্নতি হয়। একাধিক রোগ প্রতিরোধ করে দই। তবে প্রতিদিন মিষ্টি দই খেলে এই উপকার পাবেন না। বরং এই দই শরীরের ক্ষতি করে। কারণ, দোকানের মিষ্টি দইতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে। তা খেলে বাড়ে ওজন। সেই সঙ্গে সুগার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়। এ ছাড়া এতে মেশানো হয় বনস্পতি বা উদ্ভিজ্জ ঘি যা কি না স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হার্টের ক্ষতি করে। তাই ভুলেও নিয়মিত মিষ্টি দই খাবেন না।
টক দইয়ের ভূমিকা
উপকারিতা পেতে চাইলে প্রতিদিন টক দই খেতে হবে। তাতেই শরীর ও স্বাস্থ্যের ঠিক রাখবে। টক দই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। যেই কারণে টক দই খেলে পেশির জোর বাড়ে। শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত ক্যালশিয়ামের গুণে শক্ত হয় হাড়। আর সব থেকে বড় কথা টক দইতে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাসের ভাণ্ডার যা কি না অন্ত্র সুস্থ রাখে। ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে অনায়াসে মেলে মুক্তি। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত টক দই খেয়ে দিন কাটানোর।
টক দই খাওয়ার পরিমাণ
প্রতিদিন দই খেতে চাইলে কী পরিমাণ খাবেন সেটা জানা জরুরি। ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন। এতে শরীর ও স্বাস্থ্যের ঠিক থাকবে। আর চেষ্টা করুন খাবার খাওয়ার মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর দই খেতে। এতে খাবার সহজে হজম হয়ে যাবে। তবে ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য করুন