ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দিবস থাকে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাস হলে তো কথাই নেই। এই দিবসের কোনোটি খুব অদ্ভুত, কোনোটি মজার, আবার কোনোটি দরকারি। যেমন আজ গ্যালেন্টাইন ডে। না আপনি ঠিকই পড়ছেন শব্দটি ‘গ্যালেন্টাইন’।
প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয়। গ্যালেন্টাইন ডে অনেকটা ভ্যালেন্টাইনের মতো। এদিনটি মূলত নারীরা উদযাপন করেন।
গ্যালেনটাইন ডে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয়। দিনটি পালন করা হয় মূলত নারীদের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে। প্রচলিত আছে, বন্ধু হিসেবে নাকি পুরুষেরাই সেরা। তবে নারীরাও যে নারীদের বন্ধু হতে পারে, বিপদে পাশে দাঁড়ায় সেই বার্তা বয়ে আনে এই দিনটি। নারীদের বন্ধুত্বের প্রতীকও বলা যেতে পারে দিনটিকে।
এই দিনটির প্রবর্তক মার্কিন কৌতুকাভিনেতা অ্যামি পোহলার। তিনি পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন নামে একটি কমেডি শো করতেন। ওই শো’র কাল্পনিক চরিত্র লেসলি নোপ ২০১০ সালে শোয়ের দ্বিতীয় সিজনে এই শব্দটি সবার সামনে আনেন।
তাহলে দিনটি কীভাবে উদযাপন করবেন? আপনার নারী বন্ধু, মা বা বোনের সঙ্গে দিনটি কাটাতে পারেন। তাদের প্রিয় জিনিসটি আজকে উপহার হিসেবে দিতে পারেন। ভালোবাসার মাসে এই দিনটি আপনি শুধু নারী সঙ্গীদের সঙ্গে কাটাতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভ্যালেন্টাইন ডে সপ্তাহে কোন দিনের কী অর্থ
৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় রোজ ডে (Rose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে লাল গোলাপ ফুল উপহার দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় প্রোপ্রোজ ডে (Propose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
৯ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় চকোলেট ডে (Chocolate Day)। ১০ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় টেডি ডে (Teddy Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে থাকেন। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রমিস ডে (Promise Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে ভালোবাসা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরই পালিত হয় হাগ ডে (Hug Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ সান্নিধ্য অনুভব করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় কিস ডে (Kiss Day)। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের ঠোঁটে চুম্বন করে বা চুমু দিয়ে (ফ্লাইং কিস) ভালোবাসাকে অন্য মাত্রায় অনুভব করেন।
আর ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন’স ডে। এই দিনটিতে একান্তে ভালোবাসা অনুভব করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা।
মন্তব্য করুন