মাথাব্যথা বিশ্বব্যাপী একটি সাধারণ সমস্যা। ছোট বড় সকলেই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। মাঝেমধ্যে এ ব্যথা মাথায় বাঁ পাশ বা পেছন দিক থেকে অনুভূত হয়। যাকে চিকিৎসকরা মাইগ্রেন বলে থাকে। মাইগ্রেন শব্দটির সঙ্গে মোটামুটি সবাই পরিচিত।
মাইগ্রেন সাধারণ কোনোন মাথাব্যথা নয়। এ ব্যথার অনুভব অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো, প্রায়ই পালসটাইল চরিত্রের। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে বমি বমি ভাব। এ ব্যথা গরম পড়লে, বৃষ্টি নামলে, অফিসে কাজের প্রেসার থাকলে এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
মাইগ্রেন অ্যাটাক হলে সাধারণত ৪৮ থেকে ৭১ ঘণ্টা ধরে মাথায় ব্যথা হতে থাকে। এটি শুধু মাথাই নয় ঘাড়ে ও মাথার পিছনের দিকেও ব্যাথা হয়। তবে মাইগ্রেন পেছনে রয়েছে অনিয়মতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থা আর খাদ্যাভ্যাস। ভারতীয় এক গণমাধ্যম ব্লোড স্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে আসে।
মাইগ্রেন থেকে বাঁচতে কিছু খাবার চিরতরে বাদ দিতে হবে জীবন থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব খাবারের নাম- ১. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল বা মদ পানের ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে মদপানের কারণে এ মাথাব্যথার স্থায়িত্ব বাড়তে পারে। আর এই মাথাব্যথাই ধীরে ধীরে মাইগ্রেনে রূপান্তরিত হয়।
২. চিজ
দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রাখা চিজ খাওয়ার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরনো চিজে টাইরামাইন নামক একটি পদার্থ থাকে, যা এ ব্যাথার অনুভূত হওয়ার অন্যতম কারণ।
৩. ক্যাফেইন
অনেকে মাথা ব্যাথা ওঠলে চা বা কফি খেয়ে থাকেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না অতিরিক্ত ক্যাফেইন মাইগ্রেন ওঠার অন্যতম কারন। অনেকের আবার চা বা কফি খেলে মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা কমে যায়। কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনাকে মাইগ্রেনের দিকেও নিয়ে যায়। তাই এসব এড়িয়ে চলুন।
৪. কৃত্রিম মিষ্টি
বর্তমানে বাজারে চিনি বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার অনেক বেড়েছে, যা খাবার এবং পানীয়তে মিষ্টতা বাড়ানোর জন্য যোগ করা হয়,যা মাইগ্রেনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মিষ্টিযুক্ত খাবার মাইগ্রেন বাড়ার অন্যতম কারন।
মাইগ্রেন থেকে চিরতরে বাচতে হলে জীবনযাত্রার পাশাপাশি খাদ্যভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে উপরোক্ত এ খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন