সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই ঈষদুষ্ণ পানি পান করেন। আবার কেউ কেউ রাতে ঘুমানোর আগে ঈষদুষ্ণ পানি পান করে থাকেন। শীতের শুরু থেকেই ঈষদুষ্ণ পানি বা কুসুম গরম পানি পান করার প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ, ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে বেশকিছু রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য, ওজন কমাতে এবং খাবার হজমের জন্য অনেকেই হালকা গরম পানি পান করে থাকেন। সকালে কুসুম গরম পানি পানের বেশকিছু উপকারিতা থাকলেও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
আসুন জেনে নিই সকালে কুসুম গরম পানি পানের অপকারিতা-
অ্যাসিডিটির সমস্যা :
যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাদের হালকা গরম পানি পান করা উচিৎ নয়। পেটে অ্যাসিড বাড়াতে পারে এই ঈষদুষ্ণ পানি। যা জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের মতো সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাই ভালো।
পানিশূন্যতার ঝুঁকি :
হালকা গরম পানিও অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। যখন আমরা ঠাণ্ডা পানি পান করি, তখন আমরা বেশি পরিমাণে পানি পান করি। কিন্তু গরম পানি বেশি পরিমাণে পান করা যায় না। এ কারণে শরীর পর্যাপ্ত পানি পায় না। এরফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
কিডনির উপর চাপ :
অধিক পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করলে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। কিডনিকে হালকা গরম পানি ঠাণ্ডা করতে এবং শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কেউ যদি দীর্ঘ সময় ধরে ঈষদুষ্ণ পানি পান করেন, তবে তা কিডনির কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আলসারের সমস্যা :
অনেকেই মনে করেন, হালকা গরম পানি পান করলে পেটের আলসার সেরে যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। মূলত, ঈষদুষ্ণ পানি আলসারের ক্ষতগুলিতে আরও জ্বালা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এটি কেবল ব্যথা বাড়ায় না, আলসার নিরাময়েও বেশি সময় নিতে পারে।
উচ্চ জ্বর :
উচ্চ জ্বরের সময় হালকা গরম পানি পান না করাই ভালো। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শরীর এমনিতেই গরম থাকে, এরপর কুসুম গরম পানি পান করলে শরীর আরও গরম হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে হজমের জন্যও বেশি আরামদায়ক সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা পানি।
মন্তব্য করুন