অফিসে, ঘরে বা বাইরে বিভিন্ন কাজ, ব্যস্ততা, ছোটাছুটির জন্য চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়ার সুযোগ খুব কমই পাওয়া যায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, প্রতিদিনের ধুলোবালির কারণে চুলের ক্ষতি হয়। এ জন্য নিয়মিত পরিচর্যা দরকার।
নিয়মিত তেল মাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কিছু ব্যবহার, চুল পরিষ্কার করা, বিভিন্ন ধরনের তেল মালিশ করা হয়ে থাকে রুক্ষ, ডগা ফাটা চুলের যত্নে। কিন্তু, শুধু এতেই কি চুল ভালো থাকবে?
বিভিন্ন কারণে চুল ঝরে বা রুক্ষ হয়ে পড়ে। এ ধরনের সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন পর্যাপ্ত পানীয় ও পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি পরে।
কেরাটিন নামে প্রোটিন হলো চুলের অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ উপাদান। তাই সুন্দর ঘন চুল পেতে খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সব কিছুই খাকা দরকার।
নিয়মিত কোন কোন খাবার খেলে চুল ভালো থাকে?
বাদাম
প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বাদামে। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি উপাদানই জরুরি। বায়োটিন, ভিটামিন ই থাকে কাঠবাদাম ও আখরোটে। যা চুল ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিটামিন ই। চুলের পুষ্টি জোগাতে ও প্রদাহ কমাতে ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো ভূমিকা রাখে।
মাছ ও ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া, মাছেও ভালো মানের প্রোটিন বিদ্যমান। তাছাড়া পমফ্রেট, কাতলা, ইলিশ মাছগুলোতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। ডিম ও মাছে ফসফরাস, জ়িঙ্ক থাকে যা চুল ভালো রাখতে জরুরি।
পালংশাক
পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। চুলের ফলিকলে অক্সিজেন সরবরাহে আয়রন দরকার। এই শাকে ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য কার্যকরী। এ ভিটামিন দুটি মাথার ত্বকে সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। মাথার ত্বক থেকে সিবাম নিঃসৃত হয়, যা চুলকে আর্দ্র রাখতে ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
এ ছাড়াও আমলকি, মিষ্টি আলু, বিভিন্ন রকমের ফল, বীজ ইত্যাদি চুল ও মাথার ত্বকের জন্য উপকারী।
মন্তব্য করুন