সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায়ই টিয়ার গ্যাস বা কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কাঁদুনে গ্যাস শুধু যে অবরোধ-হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করছে তা নয়, সাধারণ মানুষও এতে আক্রান্ত হচ্ছে।
টিয়ার গ্যাসের প্রভাব থেকে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রভাষক ডা. আরফিন জাহান।
তিনি জানান, টিয়ার গ্যাস বা কাঁদুনে গ্যাসের অপর নাম ক্লোরোপিক্রিন। এটি একটি রাসায়নিক অস্ত্র যা ল্যাক্রিমাল গ্রন্থির স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে এবং চোখ, নাক, মুখ এবং ফুসফুসের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে প্রভাবিত করে। এতে চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে জ্বালাপোড়া, চোখে ব্যথা, অতিরিক্ত লালা, হাঁচি, কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, ত্বকে জ্বালা-যন্ত্রণা এবং সাময়িক অন্ধত্বও হতে পারে।
টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে কী করবেন?
টিয়ার গ্যাসের কোনো প্রতিষেধক নেই, তাই এর প্রভাবে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো কমাতে নিম্নোক্ত নিয়মগুলো করণীয়-
১. অতি দ্রুত টিয়ার গ্যাসের উৎস থেকে দূরে সরে যেতে হবে। ২. চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। ৩. ঠান্ডা পানি অথবা নরমাল স্যালাইন দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে দুই চোখ ধুয়ে ফেলুন। বোতলের মুখে ছিদ্র করে অথবা স্প্রে নজল লাগিয়ে ৪৫° কোণ করে চোখের ভেতরের কোনার দিক থেকে বাইরের কোনার দিকে পানি ঢেলে চোখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। (কোনোভাবেই গরম পানি বা দুধ বা অন্য কোনো তরল কিছু ব্যবহার করা যাবে না।) ৪. পোশাক পরিবর্তন করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করতে হবে। (সাবান ও পানি দিয়ে গোসল করে নেওয়া ভালো।)
উপরের নিয়ম গুলি ব্যথা কমাবে না কিন্তু লক্ষণগুলো উপশমের জন্য সাহায্য করবে। এ ছাড়া অন্য কোনো গুরুতর জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
মন্তব্য করুন