যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তারা এটি নিয়ে প্রায়ই বিব্রত। পাশাপাশি এ সমস্যাটি সৌন্দর্যহানিকরও। তবে ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অনেকেই বোঝেন না ঠিক কী করা উচিত এবং কী করা করা উচিত নয়।
বর্ষার শুরুতেই ত্বক ও চুলের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের এ সময় ব্রণ বা ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণে। তার ওপর যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের তো সমস্যা আরও বেশি। তাছাড়া হরমোনের উঠানামা, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের কারণেও ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ লুকাতেই অনেকে আবার ব্যবহার করে মেকআপ। তবে এ সময় মেকআপ ব্যবহারে হতে হবে সাবধান। মেকআপের কারণে কিন্তু ব্রণের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
ব্রণের সমস্যা থাকলে মেকআপের সময় যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে-
১. ব্রণের সমস্যা থাকলে মেকআপের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।পরিষ্কার করার পর টোনার বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
২. ব্রণ লুকাতে প্রাইমার ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাইমার মেকআপের আগে লাগালে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকে। প্রাইমার শুধু ব্রণ বা দাগছোপের অংশেও লাগাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘ম্যাটিফাইং প্রাইমার’ ব্যবহার করুন।
৩. ব্রণ, ব্রণের দাগ, অন্যান্য দাগছোপের ওপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই কনসিলার লাগান। ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। যারে ব্রণের দাগ হালকা হয়ে আসবে।
৪. এ বার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন ৷ অল্প করে ফাউন্ডেশন নিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে ৷ বেশি ফাউন্ডেশন লাগানোর প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই এমন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন, যাতে তেলের পরিমাণ কম থাকে।
৫. সব শেষে কমপ্যাক্ট পাউডার সারা মুখে লাগাতে হবে ৷ এতে ব্রণও আড়াল করা যাবে। ব্রণের স্থানে ভুলেও হাইলাইটার ব্যবহার করা যাবে না।
ব্রণ থাকলে মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে যত্ন নিতে হবে
মেকআপ করতে ভালো লাগলেও তোলার সময় অলসতা কাজ করে। তবে মেকআপ না তুললেও কিন্তু ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে ‘ডবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এক বার ফেসওয়াশ করলে বা শুধু মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলেই মুখ পরিষ্কার হয় না।
প্রথমে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে মেকআপ তুলতে হবে। এর পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। সব শেষে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া মেকআপের সরঞ্জামগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন