কথিত আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। তবে বাঙালিদের ডাল ছাড়া একবেলা ভাত মুখে উঠে না। ডাল ভাত খাওয়ার মতো শান্তি বাঙালি হয়তো পোলাও বিরিয়ানিতেও খুঁজে পায় না। পাতের শেষবেলায় ডাল ভাত সঙ্গে একটুকরো লেবু হলে সোনায় সোহাগা।
ডাল শুধু স্বাদেই ভালো নয়, এটি পুষ্টিরও ভান্ডার। ফাইবার থেকে প্রোটিন কী নেই ডালে? মাছ, মাংস, ডিম না খেয়েও শুধু ডালের গুণেই দীর্ঘদিন সুস্থ এবং ফিট থাকা যায়। তবে ডালেরও রয়েছে নানা প্রকারভেদ।
কোন ডাল কোন রোগের প্রতিষেধক, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
মুগডাল
মুড়িঘন্ট রান্নার অন্যতম উপকরণ মুগডাল। অনেকে আবার ডাল চেনেন না। ছোট হলুদ বর্ণের দানাগুলোকে মুগডাল বলা হয়। মুগডাল খাওয়ার ফলে অনিদ্রা, শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। একই সঙ্গে জন্ডিসের ঝুঁকিও কমায়। তবে গ্যাসের সমস্যা থাকলে মুগডাল ঘন ঘন খাওয়া উচিত নয়। কারণ এ ডাল হজম হতে সময় নেয়। তবে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ডাল রান্না করলে সমস্যা হবে না।
মসুর ডাল
মসুর ডাল স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে মসুরে ডাল খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকরা প্রতিদিন মসুর ডাল খেতে নিষেধ করেন। তাতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকলে মসুরের ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন।
ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে ছোলার ডালের যুগলবন্দি কালজয়ী। অনেকে আবার ওজন কমাতে ছোলার ডাল খেয়ে থাকেন। এতে থাকা ফাইবার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে হজমশক্তি সমস্যা থাকলে এ ডাল বেশি খাওয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন